শীর্ষে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ, বাংলাদেশে
দুর্নীতি বেড়েছে
জাতীয় বার্তাঃ বাংলাদেশে
দুর্নীতি বেড়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো ও পুলিশ বিভাগ সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রকাশিত এক
প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর
মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল
করাপশন ব্যারোমিটার-২০১২
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে
বলা হয়, গত
দুই বছরে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে বলে মনে করেন ৬০ শতাংশ
উত্তরদাতা। জরিপে অংশ নেওয়া উত্তরদাতাদের ৯৩ শতাংশের
ধারণা, বাংলাদেশে
সর্বোচ্চ দুর্নীতিপ্রবণ খাত বা প্রতিষ্ঠান হলো রাজনৈতিক দল ও পুলিশ। আর ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, এর পরের খাতই
হলো বিচারব্যবস্থা। এছাড়া ভূমি
সেবা, রেজিস্ট্রেশন,
পারমিট
সেবা, স্বাস্থ্য,
চিকিৎসা,
শিক্ষা,
পরিসেবা
এবং কর ব্যবস্থাও দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।৭৬ শতাংশ
উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারি খাতে দুর্নীতি খুবই গুরুতর সমস্যা। তবে ৯২ শতাংশ মানুষই মনে করেন, সাধারণ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধে
ভূমিকা রাখতে
পারেন ও তাঁরা কোনো না কোনোভাবে ভূমিকা রাখতে চান।এদিকে
দুর্নীতির এই জরিপে উত্তরদাতারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন- স্বাস্থ্য,
শিক্ষা,
ভূমি,
বিচার,
কর এসব
ক্ষেত্রে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। জরিপ
অনুযায়ী বাংলাদেশের তথ্যদাতাদের ৩২ শতাংশের অভিমত হল দুর্নীতি প্রতিরোধে
সরকারি পদক্ষেপ অকার্যকর। দুর্নীতির
ঘটনা জানানোর ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের ৩১.৪ শতাংশ জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থাবান। দুর্নীতি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৮.৮ শতাংশের আস্থা
রয়েছে। আর দুদকের কাছে জানতে চান ১১.৪ শতাংশ উত্তরদাতা।প্রতিবেদনে
ঘুষ গ্রহীতা খাতগুলো হলো: পুলিশ ৭২ শতাংশ, বিচার ব্যবস্থা ৬৩ শতাংশ এবং
ভূমি সেবা ৪৪ শতাংশ। ঘুষ প্রদানের কারণ হিসেবে ৫৮ শতাংশ মনে
করেন সেবা
পাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই একমাত্র পথ। টিআইবি’র পরিচালিত
জাতীয় খানা পরিপ ২০১০ এর তুলনায় ২০১২ তে সেবাখাতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ
দেওয়ার হারও তুলনামূলকভাবে
কমেছিল।
সাংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি টিআইবি’র পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, নীতি-নির্ধারণী পর্যায় এবং সচেতনতা, প্রচারণা ও অ্যাডভোকেসি বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশমামলা তুলে ধরা হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শাহানুর রহমান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে। বিশ্বের ১০৭টি দেশের এক লাখ ১৪ হাজার ২৭০ জনের ধারণা ও অভিজ্ঞতার ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার ১৮২২টি খানার নির্বাচিত তথ্যদাতাদের কাছ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
বিস্ময়কন্যা রেশমা বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য গল্প ও উদ্ধার কাহিনী ছিল ভাঁওতাবাজি: ডেইলি মিররের অনুসন্ধান
জাতীয় বার্তা :সাভারে ঘটে যাওয়া ‘রানা প্লাজা’র ধ্বংসস্থুপ থেকেমৃত্যুঞ্জয়ী বিস্ময়কন্যা রেশমা বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য গল্প ও উদ্ধার হওয়ার কাহিনীটি একটি ভাঁওতাবাজি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বহুল প্রচারিত ট্যাবলয়েড ‘দৈনিক মিরর’।রবিবার দৈনিকটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রানা প্লাজা ধসের প্রথম দিনই ধ্বংসস্থুপ থেকে রেশমা বের হয়ে এসেছিলেন।’সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় যে, রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ১০ মে রেশমাকে উদ্ধার কর হয়। এটাকে অলৌকিক ঘটনা বলেও তখন প্রচার করা হয়।ঢাকা থেকে পাঠানো ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি। অনুসন্ধানে মিরর জানতে পারে রেশমার ওই সহকর্মীও প্রথম দিনই তার(রেশমার)সঙ্গে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।রেশমাকে উদ্ধারের কথা যেদিন প্রচার করা হয় সেদিন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ উল্লাস করেছিল। গত ২৪ এপ্রিল সকালে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১ হাজার ১২৯ জন লোক মারা যায়। রেশমার সহকর্মী ওই ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রেই বের হয়ে আসি। আমরা উভয়ই ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বের হই।’তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে দুদিন ছিলাম।তারপর তার হদিস পাইনি।এর ১৭ দিন পর আমি তাকে টিভিতে দেখতে পাই। তারা বলেছিল এটা ছিল অলৌকিক। কিন্তু এটা ছিল বানোয়াট।’এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য সানডে মিররের (মিরর পত্রিকার রবিবাসরীয় প্রকাশনা) প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেন।সেখানে সরকার বিরোধী কর্মীরা বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর অপপ্রচার থেকে বাঁচতে এটা ছিল সরকারের একটি সাজানো নাটক।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার প্রমাণ হিসেবে তাদের রেকর্ড শোনানো হয়। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না। রেশমাকে নিয়ে ভাঁওতাবাজির খবর প্রথম প্রকাশ করে সরকার বিরোধী দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকা।উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা রেশমার বাড়িওয়ালাকে জানান যে, উদ্ধার হওয়ার পর রেশমাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাও দেয়া হয়।রানা প্লাজার আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, রেশমাকে উদ্ধারের আগে তাদের রহস্যজনকভাবে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তাকে উদ্ধার করার পর আবার কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া হয়।রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা আগ থেকে সেখানকার ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়। রেশমাকে উদ্ধারের সময় তার চেহারা এবং পোশাক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।অনুসন্ধানী সাংবাদিক শিশির আবদুল্লাহ জানান, তিনি যে ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছিলেন তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ‘তিনি বলেছিলেন যে, ইট ও ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে হাতের ওপর ভর করে লাশের ওপর থেকে তিনি পানি সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তার হাত ও হাতের নখ সেই সে সাক্ষ্য বহন করে না।’‘তাকে যখন বের করে আনা হয় তখন তার চোখ ছিল একেবারেই খোলা এবং উজ্জল আলোতেও তার চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। তার পোশাকে কোনো ফাড়া ছিল না এবং তা ছিল পরিষ্কার।’ ‘লোকজন এ নিয়ে সন্দিহান হলেও সরকার এটাকে অলৌকিক বলে হৈচৈ করতে থাকে। সবাইকে বোকা বানানো হয়।’এক সপ্তাহ আগে নিরক্ষর রেশমাকে সরকার আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয় এবং জানানো হয় যে, তাকে ঢাকার ৫ তারা একটি হোটেলের অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সেখানে মাসে বেতন ভাতা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। এটা বাংলাদেশের গড় বেতনের ১০ গুণ। তাকে আমেরিকায় যাওয়ারও অফার দেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার এ ব্যাপারে কথা বলতে মিররের সাংবাদিক রেশমার বাড়ি (দিনাজপুরের) রানীগঞ্জ যান। রেশমার মা জোবেদা এটাকে ভাঁওতাবাজি বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সবাই এটাকে অলৌকিক বলে মনে করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, ‘রেশমা নতুন চাকুরি পাওয়ার পর আমাদের হাতে এখন অনেক টাকা। আমাদের এখন ভবিষ্যৎ উজ্জল।’জোবেদা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখতে পান রেমশার হাতে সামান্য দাগ ছাড়া সে বেশ ভালোই আছে। সেনাবাহিনী তাকে দেখাশুনা করছেন। রেশমা তাকে জানান যে, তিনি সুখে আছেন।এই ভাঁওতাবাজির ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
সাংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি টিআইবি’র পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, নীতি-নির্ধারণী পর্যায় এবং সচেতনতা, প্রচারণা ও অ্যাডভোকেসি বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশমামলা তুলে ধরা হয়।সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শাহানুর রহমান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে। বিশ্বের ১০৭টি দেশের এক লাখ ১৪ হাজার ২৭০ জনের ধারণা ও অভিজ্ঞতার ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার ১৮২২টি খানার নির্বাচিত তথ্যদাতাদের কাছ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
বিস্ময়কন্যা রেশমা বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য গল্প ও উদ্ধার কাহিনী ছিল ভাঁওতাবাজি: ডেইলি মিররের অনুসন্ধান
জাতীয় বার্তা :সাভারে ঘটে যাওয়া ‘রানা প্লাজা’র ধ্বংসস্থুপ থেকেমৃত্যুঞ্জয়ী বিস্ময়কন্যা রেশমা বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য গল্প ও উদ্ধার হওয়ার কাহিনীটি একটি ভাঁওতাবাজি ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বহুল প্রচারিত ট্যাবলয়েড ‘দৈনিক মিরর’।রবিবার দৈনিকটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রানা প্লাজা ধসের প্রথম দিনই ধ্বংসস্থুপ থেকে রেশমা বের হয়ে এসেছিলেন।’সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় যে, রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর ১০ মে রেশমাকে উদ্ধার কর হয়। এটাকে অলৌকিক ঘটনা বলেও তখন প্রচার করা হয়।ঢাকা থেকে পাঠানো ‘বাংলাদেশ ক্লথস ফাক্টরি ডিজাস্টার ইজ ব্র্যান্ডেড এ হোক্স বাই কলিগ অব উইম্যান রেসকিউড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশমার সহকর্মী জানান, ভবন ধসের প্রথম দিনই বের হয়ে আসেন তিনি। অনুসন্ধানে মিরর জানতে পারে রেশমার ওই সহকর্মীও প্রথম দিনই তার(রেশমার)সঙ্গে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।রেশমাকে উদ্ধারের কথা যেদিন প্রচার করা হয় সেদিন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ উল্লাস করেছিল। গত ২৪ এপ্রিল সকালে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে অন্তত ১ হাজার ১২৯ জন লোক মারা যায়। রেশমার সহকর্মী ওই ভবনের তৃতীয় তলায় কাজ করতেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একত্রেই বের হয়ে আসি। আমরা উভয়ই ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বের হই।’তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে দুদিন ছিলাম।তারপর তার হদিস পাইনি।এর ১৭ দিন পর আমি তাকে টিভিতে দেখতে পাই। তারা বলেছিল এটা ছিল অলৌকিক। কিন্তু এটা ছিল বানোয়াট।’এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য সানডে মিররের (মিরর পত্রিকার রবিবাসরীয় প্রকাশনা) প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করেন।সেখানে সরকার বিরোধী কর্মীরা বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর অপপ্রচার থেকে বাঁচতে এটা ছিল সরকারের একটি সাজানো নাটক।প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার প্রমাণ হিসেবে তাদের রেকর্ড শোনানো হয়। কিন্তু প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় তার নাম প্রকাশ করা হলো না। রেশমাকে নিয়ে ভাঁওতাবাজির খবর প্রথম প্রকাশ করে সরকার বিরোধী দৈনিক ‘আমার দেশ’ পত্রিকা।উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা রেশমার বাড়িওয়ালাকে জানান যে, উদ্ধার হওয়ার পর রেশমাকে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাও দেয়া হয়।রানা প্লাজার আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, রেশমাকে উদ্ধারের আগে তাদের রহস্যজনকভাবে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় এবং তাকে উদ্ধার করার পর আবার কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের বাড়িতে ফিরতে দেয়া হয়।রেশমাকে উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা আগ থেকে সেখানকার ভিডিও ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়। রেশমাকে উদ্ধারের সময় তার চেহারা এবং পোশাক নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।অনুসন্ধানী সাংবাদিক শিশির আবদুল্লাহ জানান, তিনি যে ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়েছিলেন তার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ‘তিনি বলেছিলেন যে, ইট ও ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে হাতের ওপর ভর করে লাশের ওপর থেকে তিনি পানি সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তার হাত ও হাতের নখ সেই সে সাক্ষ্য বহন করে না।’‘তাকে যখন বের করে আনা হয় তখন তার চোখ ছিল একেবারেই খোলা এবং উজ্জল আলোতেও তার চোখে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। তার পোশাকে কোনো ফাড়া ছিল না এবং তা ছিল পরিষ্কার।’ ‘লোকজন এ নিয়ে সন্দিহান হলেও সরকার এটাকে অলৌকিক বলে হৈচৈ করতে থাকে। সবাইকে বোকা বানানো হয়।’এক সপ্তাহ আগে নিরক্ষর রেশমাকে সরকার আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয় এবং জানানো হয় যে, তাকে ঢাকার ৫ তারা একটি হোটেলের অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সেখানে মাসে বেতন ভাতা পাবেন ৬০ হাজার টাকা। এটা বাংলাদেশের গড় বেতনের ১০ গুণ। তাকে আমেরিকায় যাওয়ারও অফার দেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার এ ব্যাপারে কথা বলতে মিররের সাংবাদিক রেশমার বাড়ি (দিনাজপুরের) রানীগঞ্জ যান। রেশমার মা জোবেদা এটাকে ভাঁওতাবাজি বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, সবাই এটাকে অলৌকিক বলে মনে করেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, ‘রেশমা নতুন চাকুরি পাওয়ার পর আমাদের হাতে এখন অনেক টাকা। আমাদের এখন ভবিষ্যৎ উজ্জল।’জোবেদা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখতে পান রেমশার হাতে সামান্য দাগ ছাড়া সে বেশ ভালোই আছে। সেনাবাহিনী তাকে দেখাশুনা করছেন। রেশমা তাকে জানান যে, তিনি সুখে আছেন।এই ভাঁওতাবাজির ব্যাপারে সেনাবাহিনীর বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো ও পুলিশ বিভাগ সবচেয়ে
দুর্নীতিগ্রস্ত। মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই)
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক
সেন্টারে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল করাপশন
ব্যারোমিটার-২০১২ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে বলে মনে করেন ৬০
শতাংশ উত্তরদাতা। জরিপে অংশ নেওয়া উত্তরদাতাদের ৯৩ শতাংশের ধারণা,
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ দুর্নীতিপ্রবণ খাত বা প্রতিষ্ঠান হলো রাজনৈতিক দল ও
পুলিশ। আর ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, এর পরের খাতই হলো বিচারব্যবস্থা।
এছাড়া ভূমি সেবা, রেজিস্ট্রেশন, পারমিট সেবা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা,
পরিসেবা এবং কর ব্যবস্থাও দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম।
৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারি খাতে দুর্নীতি খুবই গুরুতর সমস্যা। তবে ৯২ শতাংশ মানুষই মনে করেন, সাধারণ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারেন ও তাঁরা কোনো না কোনোভাবে ভূমিকা রাখতে চান।
এদিকে দুর্নীতির এই জরিপে উত্তরদাতারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি, বিচার, কর এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের তথ্যদাতাদের ৩২ শতাংশের অভিমত হল দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ অকার্যকর। দুর্নীতির ঘটনা জানানোর ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের ৩১.৪ শতাংশ জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থাবান। দুর্নীতি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৮.৮ শতাংশের আস্থা রয়েছে। আর দুদকের কাছে জানতে চান ১১.৪ শতাংশ উত্তরদাতা।
প্রতিবেদনে ঘুষ গ্রহীতা খাতগুলো হলো: পুলিশ ৭২ শতাংশ, বিচার ব্যবস্থা ৬৩ শতাংশ এবং ভূমি সেবা ৪৪ শতাংশ। ঘুষ প্রদানের কারণ হিসেবে ৫৮ শতাংশ মনে করেন সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই একমাত্র পথ। টিআইবি’র পরিচালিত জাতীয় খানা পরিপ ২০১০ এর তুলনায় ২০১২ তে সেবাখাতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেওয়ার হারও তুলনামূলকভাবে কমেছিল।
সাংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি টিআইবি’র পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, নীতি-নির্ধারণী পর্যায় এবং সচেতনতা, প্রচারণা ও অ্যাডভোকেসি বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশমামলা তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শাহানুর রহমান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে। বিশ্বের ১০৭টি দেশের এক লাখ ১৪ হাজার ২৭০ জনের ধারণা ও অভিজ্ঞতার ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার ১৮২২টি খানার নির্বাচিত তথ্যদাতাদের কাছ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- See more at: http://sylhetview24.com/2013/july/9/5.php#sthash.sJeF9DeK.dpuf৭৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারি খাতে দুর্নীতি খুবই গুরুতর সমস্যা। তবে ৯২ শতাংশ মানুষই মনে করেন, সাধারণ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারেন ও তাঁরা কোনো না কোনোভাবে ভূমিকা রাখতে চান।
এদিকে দুর্নীতির এই জরিপে উত্তরদাতারা নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি, বিচার, কর এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের তথ্যদাতাদের ৩২ শতাংশের অভিমত হল দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি পদক্ষেপ অকার্যকর। দুর্নীতির ঘটনা জানানোর ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের ৩১.৪ শতাংশ জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থাবান। দুর্নীতি সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের ওপর ১৮.৮ শতাংশের আস্থা রয়েছে। আর দুদকের কাছে জানতে চান ১১.৪ শতাংশ উত্তরদাতা।
প্রতিবেদনে ঘুষ গ্রহীতা খাতগুলো হলো: পুলিশ ৭২ শতাংশ, বিচার ব্যবস্থা ৬৩ শতাংশ এবং ভূমি সেবা ৪৪ শতাংশ। ঘুষ প্রদানের কারণ হিসেবে ৫৮ শতাংশ মনে করেন সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটাই একমাত্র পথ। টিআইবি’র পরিচালিত জাতীয় খানা পরিপ ২০১০ এর তুলনায় ২০১২ তে সেবাখাতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দেওয়ার হারও তুলনামূলকভাবে কমেছিল।
সাংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি টিআইবি’র পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, নীতি-নির্ধারণী পর্যায় এবং সচেতনতা, প্রচারণা ও অ্যাডভোকেসি বিষয়ে বিভিন্ন সুপারিশমামলা তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শাহানুর রহমান।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে জরিপটি পরিচালনা করে। বিশ্বের ১০৭টি দেশের এক লাখ ১৪ হাজার ২৭০ জনের ধারণা ও অভিজ্ঞতার ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলার ১৮২২টি খানার নির্বাচিত তথ্যদাতাদের কাছ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
No comments:
Post a Comment