সাহেল আহমদ: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবির পর পরাজয়ের আগুনে পুড়ছে
সিলেটের আওয়ামী লীগ। ফলে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি
হয়েছে। দলীয় কার্যক্রমেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। রাজপথে
বিরোধী দলকে মোকাবেলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছে ক্ষমতাশীন
দলটি।
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পর থেকে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। সিনিয়র থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত দিন দিন দূরত্ব বেড়েই চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তেরণের পরিকল্পনাও নেই সংশ্লিষ্টদের। দলের এই অগোছালো অবস্থা বিরাজমান থাকলে সিটি করপোরেশনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিলেটের ১৯টি আসনই হরাতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে, এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে। তার এই পরাজয়ের জন্য জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট যতটা না দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল ও বিশ্বাসঘাতকতা, এমন অভিযোগ কামরান সমর্থকদের। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন অন্তত ৬০টি কেন্দ্রে কামরানের এজেন্টের অনুপস্থিতিই এমন অভিযোগের সত্যতা বহন করে।
সিটি নির্বাচনের পর থেকেই সন্দেহ ও অবিশ্বাষ দেখা দেয় নেতাকর্মীদেও মাঝে। বাড়তে থাকে দূরত্ব। এখনো এই অবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
সিটি নির্বাচনের পর পরই ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানেই সিলেটে দলের দৈনদশার চিত্র ফুটে ওঠে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অতিথি, বক্তা ও শ্রোতা মিলে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৫৪জন।
শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানই নয়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর জামায়াত-শিবিরের ডাকা কোন হরতালেই মাঠে নামতে পারেনি বিভক্ত আওয়ামী লীগ। অথচ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা প্রতিটি হরতালেই মাঠে সরব ছিল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। হরতালের দিন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করে বিরোধীদলকে কোনঠাসা করে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি গোলাম আযম ও মুজাহিদের রায়ের দিনও মাঠে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। যদিও এর আগের প্রতিটি রায়ের দিন নগরীতে শো-ডাউন করে ক্ষমতাশীনরা।
প্রতিটি রমজানেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগরীতে বিশাল আয়োজনে ইফতার মাহফিল করা হলেও এবার বিভক্তির কারণে ইফতারের আয়োজনও করতে পারেনি দলটি। ফলে সিটি নির্বাচনের পর থেকে সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রায় নিষ্ক্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
ক্ষমতাসীন থাকা সত্ত্বেও দলের এমন নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ বিরাজ করছে দলের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা থাকাটাই স্বাভাবিক।
অতীতের ভুলভ্রান্তি ভুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে দলকে আরো সুসংগঠিত করা না গেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফলাফল করা কষ্টসাধ্য হবে।
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পর থেকে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। সিনিয়র থেকে শুরু করে কর্মী পর্যন্ত দিন দিন দূরত্ব বেড়েই চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তেরণের পরিকল্পনাও নেই সংশ্লিষ্টদের। দলের এই অগোছালো অবস্থা বিরাজমান থাকলে সিটি করপোরেশনের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিলেটের ১৯টি আসনই হরাতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে, এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে। তার এই পরাজয়ের জন্য জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট যতটা না দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল ও বিশ্বাসঘাতকতা, এমন অভিযোগ কামরান সমর্থকদের। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন অন্তত ৬০টি কেন্দ্রে কামরানের এজেন্টের অনুপস্থিতিই এমন অভিযোগের সত্যতা বহন করে।
সিটি নির্বাচনের পর থেকেই সন্দেহ ও অবিশ্বাষ দেখা দেয় নেতাকর্মীদেও মাঝে। বাড়তে থাকে দূরত্ব। এখনো এই অবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
সিটি নির্বাচনের পর পরই ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানেই সিলেটে দলের দৈনদশার চিত্র ফুটে ওঠে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অতিথি, বক্তা ও শ্রোতা মিলে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৫৪জন।
শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানই নয়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর জামায়াত-শিবিরের ডাকা কোন হরতালেই মাঠে নামতে পারেনি বিভক্ত আওয়ামী লীগ। অথচ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা প্রতিটি হরতালেই মাঠে সরব ছিল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। হরতালের দিন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা মিছিল-সমাবেশ করে বিরোধীদলকে কোনঠাসা করে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি গোলাম আযম ও মুজাহিদের রায়ের দিনও মাঠে দেখা যায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। যদিও এর আগের প্রতিটি রায়ের দিন নগরীতে শো-ডাউন করে ক্ষমতাশীনরা।
প্রতিটি রমজানেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নগরীতে বিশাল আয়োজনে ইফতার মাহফিল করা হলেও এবার বিভক্তির কারণে ইফতারের আয়োজনও করতে পারেনি দলটি। ফলে সিটি নির্বাচনের পর থেকে সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রায় নিষ্ক্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
ক্ষমতাসীন থাকা সত্ত্বেও দলের এমন নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ বিরাজ করছে দলের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
এ ব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা থাকাটাই স্বাভাবিক।
অতীতের ভুলভ্রান্তি ভুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে দলকে আরো সুসংগঠিত করা না গেলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফলাফল করা কষ্টসাধ্য হবে।
No comments:
Post a Comment