সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন
সিলেট বার্তা: আগামী বিশ্বকাপ সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে হবে কি না তা আগস্টের আগে বলা
যাচ্ছেনা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই
স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের সকল কাজ সম্পন্ন হবে। সোমবার
রাতেই ভূমি অধিগ্রহণের সকল কাজ শেষ হবে।
সোমবার বিকেলে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে
উন্নীতকরণ কাজের উদ্বোধন-কালে অর্থমন্ত্রী এমনটি জানান। এসময় অর্থমন্ত্রীর
সাথে বিশেষ অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও বিসিবি’র
সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিভাগীয় স্টেডিয়ামে উন্নয়ন কাজের পরিদর্শন করেন।
পরে এক অনুষ্ঠানে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি বলেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্টানের জন্য সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে উপযুক্ত করতে অন্তত চার মাস আগে কাজ শুরু করা উচিত ছিলো। তবে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে তিনি আশ্বাস দেন।
পাপন বলেন, স্টেডিয়ামটি পরিদর্শনে আগস্টের মধ্যবর্তী সময়ে আইসিসি’র একটি
প্রতিনিধি দল সিলেটে আসবে। তারা সন্তুষ্ট হলেই এ স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এতে প্রয়োজনে অন্য স্টেডিয়াম থেকে ফ্লাড লাইট খুলে এনে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে লাগানো হবে।
‘আগামী টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের মাটিতে হবেই’ এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করে
তিনি জানান, সিলেট এবং কক্সবাজারের বিকল্প হিসেবে ফতুলৱা ও বিকেএসপিকে
প্রস্তুত রেখেছি।
তবে বিকল্প ভেন্যু নির্বাচনের আগে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শনের
অনুরোধ করেছি। সে অনুযায়ী ৭ আগস্ট আইসিসি প্রতিনিধিদল সিলেট বিভাগীয়
স্টেডিয়াম সফর করবে বলেও জানান পাপন।
সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সকলের সহযোগীটায় পুণ্যভূমি সিলেটের
মাটিতেই টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ক্রীড়া
প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার এনএম জিয়াউল
আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম নাদেলের পরিচালনায় উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সচিব নুর মোহাম্মাদ, বিসিবির পরিচালক
লোকমান হোসেন ভূইয়া, ড. মল্লিক, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র
মাঝি, ডিআইজি মকবুল হোসের ভূইয়া, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক
ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
নিষিদ্ধ পলিথিন এখন
সিলেটে
সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ থেকে শুক্রবার সকালে তিন কেজি গরুর মাংস ক্রয় করেন পুলিশ সদস্য রফিকুল ইসলাম। বিক্রেতা পলিথিনে ভরে মাংস ধরিয়ে দিলেন রফিকুলের হাতে। তিনিও কোনো আপত্তি না করে পলিথিনে করেই মাংস নিয়ে গেলেন। এভাবে মাছ-মাংস, শুঁটকি বা নিত্যপ্রয়োজনীয় চার-পাঁচ কেজি বা তারও কম পণ্য কিনলেই ব্যবসায়ীরা তা পলিথিনে ঢুকিয়ে ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে।
রমজান উপলক্ষে নগরীতে মাছ-মাংস, ফল-মূল বা মিষ্টির দোকানের আশেপাশে ভ্রাম্যমাণ হকারেরা প্রকাশ্যে পলিথিন বিক্রি করছে। নগরীর সিটি মার্কেট, হকারমার্কেট, মহাজনপট্টির বিভিন্ন দোকানে পাইকারী হিসেবে পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবাসায়ীরা গোপনে গুদামজাত করে এসব পলিথিন রেখে দেন। বড় অর্ডার পেলে গোদাম থেকে পলিথিন সরবরাহ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, অধিক লাভজনক নিষিদ্ধ এ পলিথিন ব্যাগ বিক্রির জন্য পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়। তবে লোক দেখানো ‘নাটক’ সাজাতে পরিবেশ অধিদপ্তর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কালেভদ্রে অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু তাদের এ অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা তাদের অভিযানের পরই পলিথিনে পুনরায় বাজার সয়লাব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালিক বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা লুকিয়ে কিছু পলিথিন বিক্রি করছে। তবে ব্যাপক হারে নয়। পলিথিন বিক্রি প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। শীঘ্রই নগরীতে পলিথিন উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।’
No comments:
Post a Comment