সিলেটবার্তা ডেস্ক: নগরীর
জিন্দাবাজার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক সাংবাদিককে অপহরণের প্রতিবাদে সাংবাদিকরা নগরীর পাঠানটুলায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে
অবরোধের সৃষ্টি করেন। অপহরণের অভিযোগে সিদ্দিক নামের এক
ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট
একটি সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটির সম্মুখ থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ব্যুরো
প্রধান মাহবুবুর রহমান রিপনকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে অপহরণ করা হয়। তাকে
পাঠানটুলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিধান কুমার সাহার অফিসে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এক
পর্যায়ে রিপন মোবাইলে এস এম এস দিয়ে তার এক সহকর্মীকে বিষয়টি
জানান। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে ছুটে যান
এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবরোধ
করেন। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিধান কুমার
সাহার অফিস ঘেরাও করে রাখেন। পরে কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান
ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিক রিপনকে
উদ্ধার করে সহকর্মীদের হাতে তুলে দেন। এরপরও
সাংবাদিকরা কর্মসূচি অব্যাহত
রাখেন। খবর পেয়ে এসএমপি’র
অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিন, উপ-পুলিশ কমিশনার এজাজ আহমদ ও
কোতয়ালী থানার ওসি আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদসহ
পদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। ছুটে
আসেন সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিকরাও। রাত ২টায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের
অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।এ
ঘটনায় পুলিশ সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় রিপনের জনৈক সহকর্মী রাতেই থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান রিপন অপহরণের বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। কোতোয়ালী
থানার ওসি আহমেদ নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,
এ
ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে। সিদ্দিকুর
রহমান নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে পরস্পর বিরোধী অভিযুক্তরা বলছে, সালিস বৈঠকের জন্য তারা রিপনকে নিয়ে গিয়েছিল। তবে, সাংবাদিক রিপন বলছেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, এ ঘটনার ব্যাপারে পরস্পর বিরোধী অভিযুক্তরা বলছে, সালিস বৈঠকের জন্য তারা রিপনকে নিয়ে গিয়েছিল। তবে, সাংবাদিক রিপন বলছেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানান।
No comments:
Post a Comment