সিলেটবার্তা:আগুনে পুড়ে যাওয়া সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রাবাস
পুরনো আদলেই তৈরী করা হচ্ছে। ছাত্রাবাস নির্মাণের ক্ষেত্রে 'সেমি
পাক্কা আসাম' টাইপও অনুসরণ করা
হচ্ছে। তবে, পুরনো আমলের
সেই কাঠ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী
নূরুল ইসলাম নাহিদ। তবে ঐতিহ্য রক্ষার্থে
বিদেশ থেকে কাঠ আমদানী করা
হচ্ছে বলে জানালেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট'র সহকারী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম।
গত
বছরের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের জের ধরে ঐতিহ্যবাহী সিলেটের এম সি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ। আগুনে ছাত্রাবাসটির ৬টি ব্লকের শ্রীকান্ত
ব্লক ছাড়া বাকি ৫টি ব্লক পুড়ে যায়। সম্পূর্ণরুপে
ভস্মীভূত হয় ব্লক-১, ব্লক-২
এবং ব্লক-৪। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে
নিন্দার ঝড় উঠে। কলেজ জীবনের স্মৃতি বিজড়িত এম সি কলেজ ছাত্রাবাস পুড়িয়ে ফেলায়
ঘটনাস্থলে এসে অশ্রু ফেলেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল
ইসলাম নাহিদ। অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আব্দুল মুহিতও এ
ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ছাত্রাবাস
পুড়ানোর প্রায় পাঁচ মাস পর হোস্টেলটির
পুন:নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হয়। ৫
ডিসেম্বর ছাত্রাবাসের পুন:নির্মাণ
ও সংস্কার কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল
আবদুল
মুহিত ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
জানা
গেছে, হোস্টেলের তিনটি ব্লক পুন:নির্মাণে প্রায় পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর
মধ্যে ব্লক-১ পুন:নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৮৭ হাজার ২০৬ টাকা। মেসার্স
নবকিশোর দাস নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া,
ব্লক-২
পুন:নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে-১
কোটি ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার ৩১১ টাকা। মেসার্স
এলাহী এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া,
ব্লক-৪
পুন:নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার
২৭৪ টাকা। মেসার্স ঢাকা
মেটাল এই ব্লকের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
No comments:
Post a Comment